কিভাবে দূর হবে বদ অভ্যাস...?
কোন সমস্যার ৭০ থেকে ৮০ ভাগই সমাধান হয়ে যায় যদি সমস্যাটিকে যথার্থভাবে চিহ্নিত করা যায়। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা নিজেরাই জানেন না যে তাদের সমস্যা কোথায়। তাই নিজের অবহেলায় জীবনের সুন্দর সময়গুলো হারিয়ে যায় হতাশা আর দীর্ঘ নিঃশ্বাসের অতল গহ্বরে।
একটি ভালো অভ্যাস হতে যেমন বেশ কিছু সময় লাগে তেমনি খারাপ অভ্যাস হতেও সময় লাগে। কিন্তু ঐ যে আমাদের খারাপের দিকে ঝোঁক বেশি, তাই ভালোর চেয়ে খারাপ অভ্যাস গুলোই নিয়মিত জীবনের সঙ্গী হয়ে যায়। আর এ জন্যে আমরা অন্যদেরকে দোষ দিয়ে থাকি। যেটা আরো একটা খারাপ অভ্যাস।
তবে সময় এসেছে বদ অভ্যাসগুলো ঝেড়ে ফেলে নতুন করে জীবন গড়ার। তাই আজ শেয়ার করব এমন কিছু টিপস যেগুলো বদ অভ্যাসগুলোকে ভালো অভ্যাসে রূপান্তরিত করবে।
১। নিজেকে বুঝো:
প্রথমেই নিজেকে বুঝতে হবে যে আমি প্রতিদিন যে কাজগুলো করছি , এর মধ্যে কোনগুলো ভালো এবং কোনগুলো খারাপ। এই খারাপগুলোর মধ্যে আবার কোনটা কোনটা মনের অজান্তেই করে ফেলি যা পরবর্তীতে নিজের কাছেই খারাপ লাগে। তাই সমস্যাটা সবার আগে খুঁজে বের করতে হবে।
২। প্রবল ইচ্ছা:
হয়ত পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় খারাপ অভ্যাসগুলো আমাদের মধ্যে চলে আসে। তাই বলে সেটা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে এমন কোন কথা নেই। যখনই মনে হবে ভুল হয়ে গেছে তখনই সেটাকে পরিবর্তনের কাজটা শুরু করতে হবে। যদি সত্যি তুমি চাও যে বদ অভ্যাসগুলো ছাড়তে তাহলে তোমার নিজের ইচ্ছাশক্তি কঠোর করতে হবে। কারণ- এর সুফল যেহেতু তুমি ভোগ করবে, তাই কিছুদিনের জন্যে নিজের প্রতি নিজের নিয়ন্ত্রণ আনতেই হবে।
৩। নিজেকে সময় দাও:
তোমার যখন মনে হবে যে বদ অভ্যাসগুলো তোমার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় সমস্যা সৃষ্টি করছে তখনই সেটা নিজে কাজ শুরু করে দাও। নিজের সাথে অনেক বেশি কথা বলতে হবে। এতে করে তোমার ভেতরে ভালো হওয়ার চেষ্টাটা অব্যাহত থাকবে। তুমি ইচ্ছাশক্তিটা ধরে রাখতে পারবে। নিজেকে নিজে বোঝাও। এই কাজটাতেই আমরা ভুল করি। সাধারণত ভুল মানুষের কাছে আমরা সাজেশন নিই। ফলাফল শূণ্যই থেকে যায়। তাই নিজেকে সময় দিয়ে নিজেই বোঝাও। কারণ- তোমার সবচেয়ে বড় শক্তি তুমি নিজেই।
৪। ভালো সঙ্গ গড়তে হবে:
তুমি বুঝেই গেছো যে তোমার বদ অভ্যাসগুলো কী কী এবং তুমি সেটা পরিবর্তন করারও চেষ্টা শুরু করে দিয়েছো। অতএব এখন তোমাকে কিছু নতুন সঙ্গ নিতে হবে। ফ্রেন্ডের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যাদের পছন্দ করতে না, কিন্তু তাদের আচার-আচরণ যথেষ্ট ভালো। ভালো ছেলে বলে কখনও মিশতে চাওনি। সময় এসেছে তাদের সাথে চলার। পজেটিভ মানুষের সাথে চললে তুমি সব সময় পজেটিভিটির মধ্যে দিয়ে যাবে। তুমি নতুন নতুন ব্যাপার নিয়ে তাদের সাথে কথা বলবে, আলোচনা করবে। এতে করে তোমার একাকীত্ব বা খারাপ সঙ্গের প্রভাবটা একেবারেই কমে যাবে। বদ অভ্যাস দূর করতে তোমাকে এভাবেই বিকল্প পথ গুলোকে বেছে নিতে হবে। তুমি সিগারেট ছাড়তে চাচ্ছো তাহলে যারা সিগারেট খায় না তাদের সাথে চলা শুরু করতে হবে।
৫। ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে:
শুরুতেই বলেছি একদিনে সব হয় না। খারাপ অভ্যাসগুলো যেমন অনেকদিনের ফলাফল তেমন ভালো অভ্যাস করতেও বেশ কিছুদিন লাগবে। এই সময়টা তোমাকে ধৈর্য্য নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। ভালো কিছুর অভ্যাস তোমাকে ভালো ফলাফল দেবে এবং এই ফলটা তুমি নিজেই উপভোগ করবে। তাই ধৈর্যকে সঙ্গী করে চলতে হবে। যে বলে সিগারেট, এলকোহল ছেড়ে দেয়া যায় না তার মানে হলো, সে কোনদিন সেটা পারেনি বা চেষ্টা করেনি। তাই বলে তুমি পারবে না এটা একেবারেই ভুল কথা। তুমি তোমার জীবনের চালক তাই তুমি সব কিছুই করতে পারবে যদি তোমার সেটা করার ইচ্ছা থাকে।
“আল্লাহ আমাকে ধৈর্য দাও, এখন দাও এই মূহুর্তে দাও” এমন করে ধৈর্য ধারণ করা যায় না। সময় দিতে হবে। আপনি ভালো কিছুর পেছনে যত বেশি সময় দিবেন আপনি তত ভালো কিছু পাবেন। পারিবারিক সামাজিক সব জায়গায় ভালোর স্থান সবার আগে। তাই আপনি যেহেতু বুঝেই ফেলেছেন সমস্যা গুলো কী কী তাই আজই শুরু করে দেন। আর কিছুদিন পর সেটার ম্যাজিক দেখেন।
সত্য খাওয়ানোর পদ্ধতি, আজ এ পোস্ট করেছি যারা বেশি চালাক ও ব্যর্থ নিজের বদ অভ্যাস এর জন্য....😊💜
বিজ্ঞান বিশ্লেষণ:- এর সাথে থাকুন সবাই কে শুভ কামনা চিরদিন জন্য,সবার জন্য আমার ভালোবাসা
0 Comments