পল্গঃ প্রতিশোধের প্রেম।😍
পর্বঃ ১
আসসালামুআলাইকুম।
প্রথমেই আমার সকল প্রিয় পাঠিকা ও পাঠক ভাই-বোনেদের আন্তরিকতা জানাই।আশা যাক মূল গল্পে।
এক,,, দুই,,,তিন,,,চার,,,
তারা চার বান্ধবী মিলে প্রতিদিন কলেজে যায়
১. রাইসা। ২.অহনা। ৩.ফারিয়া। ৪. রিয়া
বান্ধবীরা মিলে কলেজ যাওয়ার সময়।
তার প্রতিদিন হাসা-হাসি,হৈ-হুল্লোড় করে যাতায়াতে এক অনাবিল আনন্দ ফুটে ওঠে।
প্রত্যেকের চোখে মুখে।
কলেজে পড়ার জীবন এক সুন্দর অভিজ্ঞতার দিনগুলো। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বন্ধু বান্ধবদের সাথে পরিচয়।
ক্লাস অফ রেখে সিনেমা যাওয়া,,,বা কোথাও কাছে পিঠে বন্ধু অথবা বান্ধবীর বাড়ি গিয়ে পিকনিক করা।এক মজার দিন।
আমার আজও মনে পড়ে,,,,,আমার সেই কলেজ জীবনের দিনগুলির কথা।
-
-
আর হ্যাঁ আসল কথাটাই বলা হয়নি,,,কলেজ জীবনে প্রেমে পড়া এক দারুন অভিজ্ঞতা। কম বেশি আমরা সকলেই প্রেম করেছি। অনেকের জীবনে করুন অথবা সুখের দিন গেছে কলেজ জীবন।
🌷 💞🌷
❤️চার বান্ধবীর মধ্যে আমরা রাইসার কলেজ এর জীবনের প্রেমের অভিজ্ঞতার কিছু টুকরো মুহূর্ত প্রতিটা এপিসোড থেকে,, জেনে নেব। এবং কিছু শিক্ষাও গ্রহণ করবো ভুল অথবা ঠিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে।❤️
-
-
প্রতিদিনের ন্যায়, রাইসা বান্ধবীদের সাথে কলেজে যাওয়ার সময়,
একটা ছেলে রোজ আজকাল কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।
রাইসার প্রতি তাকিয়ে থাকে,,,
আর মুচকি একটা হাসি হেসে বাইকে করে হুশ করে বেরিয়ে যায়।
এখন তো চার বান্ধবীর প্রতিদিনের খোরাক ওই বাইকওয়ালা ছেলেটা। বেশ দেখতে শুনতে ভালো। হাতে ইলেকট্রনিক্স দামি ঘড়ি। মুখে হালকা দাড়ি। পরনে টি শার্ট ও ব্লু জিন্স।স্মার্ট । চাপা হাসিতে রাইসার অন্য বান্ধবীরা----👩👧👧
৪ বান্ধবীদের মধ্য এক বান্ধবী বলে উঠল সে হলো অহনাঃ কিরে রাইসা,,?
ছেলেটা মনে হয় তোর প্রেমেই পড়েছে?💞 যাইহোক,ছেলেটা মনে হয় খারাপ নয়। দেখতে হ্যান্ডসাম, দেখ, কেমন প্রতিদিন তোর জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। কথা বলে দেখতে পারিস। সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।
রাইসার মুখটা কেমন যেন লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো।
রাইসাঃ 💪এই বান্দনী রা,,, তোরা চুপ করবি কি?আমার আর কাজ নেই তাইনা,আমি প্রেম করবো?
প্রেম করলে আমার পড়াশুনা করবে কে?
তোরা আমার হয়ে পরীক্ষা দিয়ে দিবি?ছাড় তো,,,যত সব উটকো ছেলে। এমনি রোজ দাঁড়াবে তারপর একদিন ফুটে যাবে। এসব নিয়ে আমি ভাবি না।
চল। চল।বাড়ি ফিরতে হবে আজ তাড়াতাড়ি, বিয়ে বাড়ি যেতে হবে।
অহনাঃ ঠিক আছে,তাও একবার ভেবে দেখতে পারিস।☺
মনে হয় ছেলেটা ভালো।
আর প্রেম করতেই বা ক্ষতি কোথায়?
রাইসাঃ প্রেম না করলেই বা ক্ষতি কি?😋
আর হে ঠিক আছে,,দেখা যাবে অন্য সময়।
আজ চল।
তাছাড়া যার দরকার সে আগে কথা বলুক।
হয়তো বা অন্য কারুর জন্য দাঁড়িয়ে থাকে।
আমরা আবার কিছু বলতে গেলে বিষয়টা অন্য কিছু হতেও পারে। 🏃🏃
সেদিন বিয়ে বাড়ির নেমন্তন্ন খেয়ে বাড়ি ফিরতে অনেকটা দেরি হয়ে যায় রাইসার।
তাই পরের দিন আর কলেজ যাওয়া হয়নি।
অন্য সব বান্ধবীরা কলেজ এসেছে।
রাইসা কেন কলেজ এলো না,
বান্ধবীরা চিন্তায় পড়ে গেলো।
ফারিয়াঃ ফোন করলো রাইসাকে।📲
ফারিয়াঃ কি রে রাইসা আজ কলেজ এলি না কেন?
বাড়িতে কোনো জরুরি কাজ ছিল নাকি?
শরীর ঠিক আছে তো?📱📲
রাইসাঃ (রাইসার তখনও ঘুমের ঘোর কাটেনি। হাই তুলতে তুলতে বলে)
না রে ভালো আছি।
কাল বিয়ে বাড়ি ছিল ,
অনেক রাতে ফেরা হয়েছে।
তাই ঘুম ভাঙেনি ,
আর কলেজ আসা হয়নি।
তোরা সবাই এসেছিস তো?
নোট'স গুলো পরে নিয়ে নেব নি।
রাখ এখন আমি আর একটু ঘুমাবো।😴😴😴
ফারিয়াঃ ঠিক আছে ঘুমা। কাল আসিস কথা হবে।
টা টা।🤓🤓
রাইসাঃ বায়.........😴
কলেজ ছুটির পর আজও সেই ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে বাইক নিয়ে।
চার বান্ধবীর মধ্যে একজনকে না দেখে কেমন যেন ছটফট করছে ছেলেটা।
অনেকটা সাহস করে এগিয়ে এসে বাকি তিন বান্ধবীর উদ্যেশে বলে।😁😁
ছেলেটা: HI. আমি রাশেদ।
আপনাদের ডিসটার্ব করলাম,
আপনাদের গ্রূপের আর একজনকে দেখতে পেলাম না যে আজ?
Actually......(মাথা চুলকাতে চুলকাতে)।😋😋😋
রিয়াঃ ওহঃ! আপনি রাইসার কথা বলছেন?
আজও কলেজ আসেনি।
কাল আসবে।আর আপনি?
রাশেদঃ আমি রাশেদ। ওই ..........… বুঝতেই পারছেন হয়তোবা আপনারা।
দেখুন না আপনারা একটু।
ওর সাথে কথা বলে।
আমি ওর প্রেমে পড়ে গেছি।(মুচকি হেসে)।💗💗
তিন বান্ধবী মুখ টিপে টিপে হাসলো।
সবাই বললো ঠিক আছে,
আমরা ওকে বলে দেখবো।
আপনি তো রোজই আসেন।
কাল ছুটির সময় আসুন দেখা যাবে ।
রিয়াঃ বাই....।
রাশেদ মনে এক রাশ প্রেমানুভূতি ও স্বপ্ন নিয়ে বাইকে করে সেদিনের মতো বিদায় নিল।
0 Comments