কেন চাকরি থেকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং উত্তম,

কেন চাকরি থেকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং উত্তম,,,,

আপনি শুনে অভাক হবেন।পৃথিবীর ১০০% সম্পদের ৫০% সম্পদ ব্যবহার করে ৫% মানুষে আর ৫০% সম্পদ ব্যবহার করে ৯৫% মানুষে।এটি এতোবড় ডিপারেন্ট কেন।কেন আমাদের বেশির ভাগ মানুষ গরিব থেকে যায়, এটি অন্য কিছু নাকি ভাগ্যের দোষ?? আর এখন অনেক মানুষ জিজ্ঞেস করে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং  করব নাকি জব করব?? এসকল প্রশ্নের উত্তর আমরা খোঁজে পেয়েছি রবার্ট  কিওসাকির সেরা বিক্রয় বই     Rich dad Poor dad থেকে। আজকে আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো,,,,,,,,

Rich dad poor dad বইয়ের কিছু কথা,,,

রবার্ট কিওসাকি বলেন আমরা অর্থ উপার্জন করার  জন্য চারটি উপায় রয়েছে।
১নংঃ- employee
২নংঃ- Self-employee
৩নংঃ- business owner
৪নংঃ- investors

খুব মজার ব্যাপার হল, ৯৫% মানুষ আছে যারা ১ম ২ টাকে গ্রহন করেছে,আর ৫% মানুষ যাঁরা কষ্টসহকারে পরের ২ টাকে গ্রহন করেছে।

মজার বিষয় এই যে,যারা ১ম ২টা গ্রহণ করেছে তারাই গরিব বলে বিবেচিত হয়েছে।আর যে ৫% মানুষ ২য় ২ টাকে গ্রহণ করেছে তাদেরকে বলা হয়েছে ধনি।    

এ থেকে বুঝা যায় যে,আমাদের ছোটবেলায় শিখানো হয়েছে,কঠোর পরিশ্রম ও শিক্ষা সফলতার চাবিকাঠি, এটা ভুল। আমাদের আর এদের মধ্যে  কিছুই না কিছু আছে যা এতবড় আয়ের প্রার্থক্য সৃস্টি করেছে। রবার্ট কিওসাকি তিন টি বড় প্রর্থক্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন,, তা নিচে আলোচনা করা হল ,,,,

   

Robert Kiyosaki-র তিনটি বড় পার্থক্যের ব্যাখ্যা -


(১) আমারা সারা জীবন একা একা কাজ করে থাকি, অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রচেষ্টা (individual effort) দিই এবং এই স্বতন্ত্র প্রচেষ্টার কারনে আমাদের সীমিত আয় হয়। কারন সময়ই টাকা (Time is money)। সীমাবদ্ধ ঘন্টা (limited hours) কাজ করার জন্য আমাদের সীমিত আয় হয় এবং সবথেকে বিপজ্জনক কথা হল আমাদের আয় সবসময় সক্রিয় থাকে। মানে আমরা যতক্ষণ কাজ করব ততক্ষন আয় হতে থাকে। রোজ জল খাবার জন্য রোজ কুয়া খোঁদাই করতে হয়। একজন দোকানদার পরেরদিন দোকানের সাটার খুলবে তবেই আয় আসেবে। একজন ডাক্তার চেম্বারে যাবে তবেই আয় আসবে। একজন চাকরিজীবী রোজ অফিস যাবে তবেই মাসের শেষে বেতন পাবে।

কিন্তু তৃতীয় এবং চতুর্থ বিভাগের এর লোকেরা এরা কখনোই একা একা কাজ করে না। এরা দলবদ্ধভাবে কাজ করে। টীম তৈরী করে এবং টীমকে দিয়ে কাজ করায়। আমরা সময় নষ্ট করে আয় করি, এরা সময় কিনে আয় করে। আমরা কাজ করে আয় করি, এরা কাজ করিয়ে আয় করে। এর কারনেই তাদের আয় সবসময় সীমাহীন থাকে এবং কিছু সময় পরে এদের এই আয় একটা অটোপাইলট মোডের মধ্যে চলে আসে। একে বলে প্যাসিভ আয় (Passive income)। সুতরাং এই তিনটে সূত্র যদি আমরা আমাদের জীবনধারার সাথে যুক্ত করে নিতে পারি, তো আমরা এই অভাবের দুনীয়া থেকে স্বপ্নের দুনীয়ায় পৌঁছাতে পারি। Robert Kiyosaki বলছেন যারা ‘Poor dad’ আছেন তারা আমদের শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য কাজ করতে শেখায়। এবং যারা ‘Rich dad’ আছেন তারা বলছেন আপনাকে এমন উপায় বার করতে হবে, যে যেন অর্থ আপনার জন্য কাজ করে। এবার ভেবে দেখুন আপনি কি চান?
(২) পরের পার্টটা তাদের জন্য যারা এই প্রথম এবং দ্বিতীয় বিভাগ থেকে তৃতীয় এবং চতুর্থ যেতে চায়। আর সত্যিই যদি আপনি পরিবর্তন করতে চান, তো আপনার কাছে একটাই সবথেকে ভাল উপায় আছে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং (Network Marketing)। যাকে আধুনিক অর্থনীতিবিদরা বলছেন ‘একবিংশ শতাব্দীর ব্যবসা’ (21st century business)। যেটা আপনি কোন কারখানা তৈরী করা ছাড়া, কোন দোকান কেনা ছাড়া এবং খুব অল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন। তো নেটওয়ার্ক মার্কেটিং-এ এমন কি আছে যা মানুষ আজ এত পছন্দ করছে?

 

আমরা প্রতি মাসে কত টাকা সঞ্চয় করতে পারি  


এইমূহুর্তে আমরা যদি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় করি তাহলে ২৫ বছর ধরে আমারা ৩০ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করতে পারবো। একি ভাবে যদি ২০ হাজার টাকা সঞ্চয় করি তো ৬০ লক্ষ টাকা এবং ৩০ হাজার টাকা যদি সঞ্চয় করি তাহলে দেখা যাবে আমার ৯০ লক্ষ টাকা অবধি সঞ্চয় করতে পারি। আর এই সঞ্চয় আমরা তখনই করতে পারবো যদি আমাদের কাছে কোনো বড় খরচা না থাকে। যেমন- বিবাহ, ঘর, গাড়ি, পারিবারিক ছুটি, মেডিকেল এবং শিশুদের পড়াশোনা।

এটা কোনও মতেই সম্ভব নয় যে এই খরচাগুলি আমাদের হবে না। আমাদের মেডিকেল, শিশুদের পড়াশোনা, পারিবারিক ছুটি তো আছেই তার উপরে আমারা বাঙ্গালী। আমাদের বারো মাসে তেরো পার্বন লেগেই আছে। তো দেখা যায় আমরা যদি এই সব খরচা গণনা করি তবে আমাদের সঞ্চয় ঋণাত্মকেই যাবে। এবার আপনি ভেবে দেখুন ২৫ বছরে ৯০ লক্ষ টাকা আমারা সঞ্চয় করছি। আর আজকের দিনে একটা কোনো ভাল জায়গায় বাড়ি বানাতে গেলে ৬০ থকে ৭০ লক্ষ টাকা খরচা আছে। তো ২৫ বছর পরে এই ৯০ লক্ষ টাকার কি মূল্য থাকবে। 



নেটওয়ার্ক মার্কেটিং-এ সবথেকে ভালটা কি হয়? 


· এখানে আপনি সময় যৌগিক (time compound) করতে পারেন। কারন এখানে আপনি একা একা কাজ করবেন না। আপনি আপনার জন্য একটা বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবেন। দেখা গেছে পৃথীবীতে যত বড় বড় লোক আছে তারা নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন এবং নেটওয়ার্ক এর সাথেই আয় করেছেন।

· এখানে আপনার মর্জি যে আপনি কোন ধরনের মানুষের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।

· এখানে আপনি সর্বনিম্ন বিনিয়োগ (Minimum investment) করে সর্বোচ্চ রিটার্ন (Maximum return) পেতে পারেন।

· আপনি এটা খণ্ডকাল (part time) করতে পারেন আবার পূর্ণকালও (full time) করতে পারেন।

· জেতার এবং জেতানোর ব্যবসা (win win business)। মানে আপনাকে আয় করিয়ে দিতে পারলে তবেই আমার আয় হবে।

· এখানে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকে।

· আজ এই ব্যবসার চাহিদা খুব বেশী। কারন - যত মানুষ আছে সবাই চায় একটা অতিরিক্ত আয় করতে। প্রত্যেকেই চায় তাদের সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য। প্রত্যেকেই চায় তাদের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। প্রত্যেকেই চায় পুনরাবৃত্তি আয় করতে, মানে কাজ করবেন না তাও আয় আসতে থাকবে এবং প্রত্যেকে চায় প্রকৃতি দ্বারা স্বাধীনতা (freedom by nature)। মানে কোনও মনিব থাকবে না, আমরা আমাদের নিজের মর্জি মাফিক কাজ করবো।

তো আপনারা কি এমন কাউকে জানেনে যার এই জিনিষ গুলির দরকার নেই। সম্ভবত নয়। কারন প্রত্যেকটি মানুষেরই আজ এগুলির দরকার আছে। সুতরাং যাদের আজ এই জিনিষ গুলীর দরকার তাদের কাছে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং একটি সেরা এবং একমাত্র সুযোগ যা আপনারা উপভোগ করতে পারেন। 



সময় যৌগিক (Time compound) কি?


আমরা একদিনে ১০ ঘণ্টা কাজ করি বা তার থেকে কিছু কম। যদি আমরা সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করি, তাহলে ১ সপ্তাহে আমরা ৬০ ঘন্টা কাজ করি। এবং এক বছরে যদি আমরা ৫০ সপ্তাহ কাজ করি তো এক বছরে আমরা মোটামুটি ৩০০০ ঘন্টা কাজ করতে পারি। এবার আমরা যদি ২০ বা ২২ বছরে কোন একটা কাজ শুরু করি এবং অবিরতভাবে ৪০ বছর ধরে কাজ করার পর ৬০ বা ৬২ বছরে অবসর গ্রহন করি। তো দেখা যাবে কোন অসুস্থতা ছাড়াই এবং কোন ঘটনা ঘটা ছাড়াই তাও আমরা ৪০ বছরে ১,২০,০০০ ঘন্টা কাজ করতে পারি আমাদের পুরো জীবদ্দশায়-এর মধ্যে। একবার ভেবে দেখুন আমাদের যত আয়, যত সম্পদ, যত সঞ্চয় সব এই সময়ের মধ্যেই নির্ভর করতে হয়।

এবার দেখি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং-এর ক্ষমতা। মনে করুন আপনি ২ থকে ৩ বছর পরিশ্রম করেছেন এবং দুই হাজারের একটি দল তৈরী করেছেন। তারা যদি প্রতি দিন ১ ঘন্টা করে এই ব্যবসায় তাদের সময় দিয়ে থাকে, এবং মাত্র ৬০ দিনও যদি এই ভাবে কাজ করে, তো আপনি ১,২০,০০০ সময় যৌগিক (Time compound) করতে পারবেন। This is power of time compound। তো পৃথিবীতে যত লোক কোটিপতি বা আরবপতি হয়েছেন, এবং যত লোক স্বপ্নকে পুরন করে বেঁচে আছেন এই সময়ের স্বাধীন্তাকে উপভোগ করে। তারা সময় যৌগিক-কে বোঝেন এবং তারা এটা তাদের জীবনে বাস্তবায়ন করে নিয়েছেন। তো আপনার কাছে একটা দুর্দান্ত সুযোগ এই ফান্ডাটাকে কাজে লাগানোর। এর সম্পর্কে আমারা আগে একটা ব্লগ লিখিছি ‘আর্থিক স্বাধীনতা কিভাবে পাওয়া সম্ভব?’ (How to get financial freedom?)। আপনারা চাইলে পড়ে নিতে পারেন।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ‘কেন চাকরি থেকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ভাল?’ সুতরাং নিজের চিন্তাধারাকে বদলে এবং এই ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হয়ে সফল হতে যারা চান, সেই সব উৎসাহী ব্যক্তিরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। বিগত দিনে এইরকম অনেক মানুষ আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে নিজেদের সফল করতে পেরেছেন। আপনাদের জন্য আছে বিনামূল্যে পরামর্শ এর সুযোগ।


সুতরাং খুব শীঘ্রই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। একবার বিশ্বাস করে হাতটা বাড়ান, আপনার সব স্বপ্নগুলি পুরন হয়ে যেতে পারে।

আর সব শেষে একটা ছোট্ট অনুরোধ, যদি এই অনুচ্ছেদটি আপনার কাজের মনে হয় তো অনেক অনেক শেয়ার করুন। কারন আপনিই পারেন আপনার নিজের সাথে সাথে আপনার বন্ধু বান্ধবীদের জীবনেও সফলতা নিয়ে আসতে। এই বিষয়ের এর উপর যদি আর কিছু জানতে চান তো নীচে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাণ, আমারা চেষ্টা করবো যত তারাতারি সম্ভব সেগুলি উত্তর দিতে। মনে রাখবেন আমরা আমাদের সাথে আপনাকেও সফল বানাতে চাই, আর এটাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য।
সুতরাং আপনার চিন্তাভাবনার পরিবর্তন করুন, আপনার জীবন পরিবর্তন করুন। 

আবদুর রশিদ  খান
উদ্দ্যোক্তা,টিয়েন্সগ্রুপ।        

Post a Comment

0 Comments