মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ১০টি হাদিস

আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্যা নবী রাসূল প্রেরণ করছেন মানব জাতির হেদায়াতের জন্য।কাওকে আল্লাহর পক্ষ হতে কিতাব দিয়ে আবার কাওকে পেরিত রাসূলের সত্যতা প্রমান করতে।নবী-রাসূলগণ আল্লাহর আদেশ ছাড়া কোন কথা বলতেন না। তাই নবী-রাসূলগণের কোন গুণাহ নাই।তাই নবী রাসূলগণের চরিত্র আমাদের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সর্বপ্রথম নবী হজরত আদম (আঃ)  এবং সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ  (সাঃ)। আল্লাহ তা য়ালা কুরআন মাজীদে রাসূল (সাঃ) সর্ম্পকে বলেন,অর্থঃ নিশ্চয় আপনি সৎ চরিত্রের অধিকারী।তাই রাসূল (সাঃ)  এর জিবন প্রত্যেকটি অংশ আমাদের জন্য অনুকরনীয় ও অনুসরণীয় আদর্শ।তিনি সাহাবায়ে কেরাম (র.)  গণকে বলেন,তোমরা আমার মধ্যে যে চরিত্র দেখ,তা মানুষের নিকট প্রচার কর।এই কথা নবী ছাড়া আর কোন মানুষে বলতে পারে না। আজকে আমরা রাসূল (সাঃ)  এর ১০ টি হাদিস সর্ম্পকে জানব,,চলুন শুরু করি,,,

আল্লাহ
(১)জান্নাতের চাবি হলো – ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই’ এ সাক্ষ্য দেয়া। (আহমদ)
শব্দার্থ : ‘ইলাহ’ মানে হুকুমকর্তা, আইনদাতা, আশ্রয়দাতা, ত্রাণকর্তা, উপাস্য, প্রার্থনা শ্রবণকারী।
(২)আল্লাহ সুন্দর! তিনি সৌন্দর্যকেই পছন্দ করেন। (সহীহ মুসলিম)
(৩) শ্রেষ্ঠ কথা চারটি :
ক) সুবহানাল্লাহ – আল্লাহ পবিত্র,
খ) আল হামদুলিল্লাহ – সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর,
গ) লা–ইলাহা ইল্লাল্লাহ – আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই,
ঘ) আল্লাহু আকবর – আল্লাহ মহান। (সহীহ মুসলিম)
আল্লাহর অধিকার
(৪) বান্দাহর উপর আল্লাহর অধিকার হলো, তারা কেবল তাঁরই আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং তাঁর সাথে কোনো অংশীদার বানাবেনা। (সহীহ বুখারী)
ঈমান
(৫) বলো : ‘আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি ; অতপর এ কথার উপর অটল থাকো। (সহীহ মুসলিম)
(৬) ঈমান না এনে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। (তারগীব)
(৭) যে কেউ এই ঘোষণা দেবে : ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই আর মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রসূল’ – আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্যে নিষিদ্ধ করে দেবেন।(সহীহ বুখারী
ঈমান থাকার লক্ষণ
(৮) তুমি মুমিন হবে তখন, যখন তোমার ভালো কাজ তোমাকে আনন্দ দেবে, আর মন্দ কাজ দেবে মনোকষ্ট। (আহমদ)
ইসলাম
(৯) সব কাজের আসল কাজ হলো ‘ইসলাম’। (আহমদ)
(১০) কোনো বান্দাহ ততোক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম হয়না, যতোক্ষণ তার মন ও যবান মুসলিম না হয়। (তাগরীব)

   

Post a Comment

0 Comments