যখন আপনার কাছে একটি পণ্য থাকবে এবং সেবা দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে তখনই আপনি পণ্যটি বিক্রয় করার ক্ষমতা রাখেন। আর একটি প্রতিষ্ঠানের মুনাফাই উঠে আসে তার বিক্রিত পণ্য থেকে। এখন আমরা আলোচনা করব কিভাবে বিক্রয় বৃদ্ধি করা সম্ভব।
গ্রাহকের সাথে পরিচিত হনঃ
প্রথমেই আপনার গ্রাহকের সাথে পরিচিত হবেন। আপনার পণ্য সম্পর্কে তাকে আগ্রহী করে তোলার আগে আপনার গ্রাহককে বুঝতে হবে। গ্রাহক কি ধরনের পণ্য পছন্দ করতে পারে। আপনি যদি একজন গ্রাহক সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনি অনুমান করতে পারবেন গ্রাহক কি ধরনের পণ্য চায়।
প্রথমেই আপনার গ্রাহকের সাথে পরিচিত হবেন। আপনার পণ্য সম্পর্কে তাকে আগ্রহী করে তোলার আগে আপনার গ্রাহককে বুঝতে হবে। গ্রাহক কি ধরনের পণ্য পছন্দ করতে পারে। আপনি যদি একজন গ্রাহক সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনি অনুমান করতে পারবেন গ্রাহক কি ধরনের পণ্য চায়।
আপনার গ্রাহককে সন্তুষ্ট ও খুশি রাখার চেষ্টা করুন। একজন বিক্রেতার ব্যবহারের মাধ্যমেই গ্রাহকের মন পেতে পারেন। সবাইকে হাসি মুখে আপ্যায়ন জানাবেন। ক্রেতারা অনেক ধরনের প্রশ্ন করতে পারে। আপনাকে তার সন্তুষ্টির জন্য হাসি-মুখে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। গ্রাহকের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরন করতে হবে।
গ্রাহক কি চায় শুনুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন। সব গ্রাহকরাই এক রকম না। গ্রাহক আপনার দোকানে আসলে আপনি এগিয়ে যাবেন তার কথা আকাঙ্ক্ষা গুলো মন দিয়ে শুনবেন। অন্য গ্রাহককেও আপনার পণ্যটি সম্পর্কে বলবে।
যখন একজন গ্রাহক আপনার কাছে আসবে তখন তার উপর পূর্ণ মনোযোগ দিন, আর তা যদি না বুঝেন বিরক্তি প্রকাশ না করে আবার জিজ্ঞেস করবেন।
আপনি যে পণ্যটি বিক্রয় করবেন তার মানের উপর নির্ভর করবে বিক্রয়। বিক্রয় বৃদ্ধির লক্ষে অবশ্যই পন্যের মানের উপর নজর দিন। যদি পন্যের মান ভালো হয় তাহলে গ্রাহক খুশি হবে এবং সে পুনরাই পণ্যটি ক্রয় করবে। এখানেই শেষ না গ্রাহকের কাছে যদি পণ্যের মান ভালো লাগে সে তখন আরেকজনকে বলবে। এভাবেই আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে।
আপনার পণ্যটি সম্পর্কে গ্রাহকের মন্তব্য জানুন। বর্তমান বাজারে আপনার পণ্যটির অবস্থান জানার চেষ্টা করুন। এছাড়া আপনার বাজারের অবস্থা জানলে আপনি ভাবতে পারবেন কিভাবে আর কি করলে বিক্রয় বৃদ্ধি সম্ভব।
একজন ক্রেতা ঘরের লক্ষী। একজন গ্রাহকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন এতে আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি সম্ভব।
অনেক কোম্পানি তাদের বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য তাদের পন্যের সাথে আকর্ষণীয় অফার দেয়। যেমন- একটি কিনলে একটি ফ্রি, অথবা এই পণ্যটি কিনলে টিভি, ফ্রিজ দেওয়া হবে। এভাবে আরও অনেক কিচুর অফার দিয়ে ক্রেতাকে আকর্ষণ করে তাদের বিক্রয় বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে তাদের মুনাফা বৃদ্ধিও সম্ভব।
বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞাপন একটি বড় মাধ্যম। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রাহকরা যে কোন পণ্য সম্পর্কে সহজেই জানতে পারছে। তাইতো এখন বেশিরভাগ কোম্পানি তাদের বিক্রয় বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপনের জন্য কিছু টাকা আলাদা বিনিয়োগ হিসেবে করে। বিজ্ঞাপন অনেক ভাবেই করা যায়। টিভিতে, রেডিওতে, পত্রিকায়, অনলাইনে আরও অনেক ভাবে। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইন মার্কেটিং। সল্পখরচে আপনি আপনার পন্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারছেন। আর এখন অনেকেই অনলাইন থেকে মার্কেট করে থাকে। সুতরাং আপনার বিক্রয় প্রসারের জন্য বিজ্ঞাপনের গুরুত্ত অনেক।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতি বা মাল্টিলেভেল পদ্ধতির আওতা বেশ বড়। অত্যাধুনিক কমিশন প্লান ও পণ্য সামগ্রীর আবিষ্কারের ফলে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতি প্রতিনিয়ত নতুন সংস্করনরূপে আসছে সেমিনার বা দু’একটি প্রশিক্ষণ গ্রহন করে এ সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা সম্ভব নয়। সারা বিশ্বব্যাপী হাজারো নেওর্য়াকার, বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা ও ডিস্ট্রিবিউটর এ ব্যবসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষনা করে আসছে। স্বাভাবিকবাবেই প্রশিক্ষণ ব্যতীত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সম্পর্কিত জ্ঞান লাভ করা প্রায় অসম্ভব। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সম্পর্কিত জ্ঞান লাভ করে আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি করতে পারেন।
বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য অনেক ধরনের কৌশল আছে। সেগুলো সম্পর্কে জানলে আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি করা সম্ভব। এখন অনেক প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠান চালু আছে।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতি অনুসরনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ সাধারণত নতুন ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ পণ্য বাজারজাত করে। নতুন ও পরিবর্তিত পণ্যের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের গুণাগুন, পণ্যের বৈশিষ্ট্য ও বিশেষত্ব সম্পর্কে ধারনা লাভের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহন করা প্রয়োজন। সাধারণত সব ধরনের পণ্য সামগ্রীর ব্যাপারে ক্রেতাদের জানা থাকেনা এবং অধিকাংশ পণ্যের গুণাগুন সম্পর্কে ধারনা থাকেনা। ডিস্ট্রিবিউটর ও লিডারদের সব পণ্য সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকার জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহন করা উচিত।
যে কোন কাজের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে মনোবলের উপর দৃঢ় মনোবল দ্বারা অনেক জটিল কাজ সহজে সম্পাদন করা সম্ভব। প্রশিক্ষণ গ্রহনের পূর্বে নেটওয়ার্ক পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেরই স্বচ্ছ ধারনা থাকেনা যার দরুন এ সম্পর্কিত সব কিছুই অসম্ভব মনে হতে পারে। প্রশিক্ষণ গ্রহনের পর মনোবল বেড়ে যায় এবং কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। সফলতা প্রাপ্তির জন্য মনোবল বৃদ্ধি আবশ্যক। আর বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য মনোবল বৃদ্ধি আবশ্যক।
অনেক ক্রেতা পন্যের মোড়ক কেমন আর তা কতটা আকর্ষণীয় তা দেখে পণ্য ক্রয় করে থাকে। যে সমস্ত পন্যের মোড়ক আছে চেষ্টা করবেন আকর্ষণীয় ভাবে পন্যের মোড়ক তৈরি করতে।
উন্নত ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে নেতৃত্ব প্রদানে অগ্রগামী হওয়া সম্ভব। পুথিঁগত বিদ্যর্জন করে অনেকেই উন্নত ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে পারে না। বস্তুত উন্নত ব্যক্তিত্ব নেতৃত্ব প্রদানে ভূমিকা পালন করে না বরং সাফল্যের শীর্ষবিন্দুতে পৌছাঁতেত্ত সাহায্য
0 Comments