আর আধুনিক এমএলএম-এর জন্ম হয় ১৯৩০ সালে। আবিষ্কারকের নাম ড. কার্ল রেইনবর্গ । ১৯৩০ সালে তিনি কেলিফোর্নিয়া ভিটামিন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট বিক্রয় শুরু করেন। ১৯৩৯ সালে কোম্পানি তার নাম পরিবর্তন করে নিউট্রিলাইট প্রডাক্টস কোম্পানি ইনকর্পোরেশন নামকরণ করেন।বর্তমানে কোম্পানি Avon Products inc নামে পরিচিত।১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদীয় বিলের মাধ্যমে মাত্র ১০ ভোট বেশি পেয়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং স্বীকৃতি পেলে এর বিকাশ দ্রুততর হয়। ১৯৯৮ সালে শ্রীলঙ্কার বংশোদ্ভূত নারায়ণ দাস নামের এক ব্যক্তি কানাডার মাধ্যম হয়ে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশে এমএলএম আবির্ভাব ঘটান। তিনি বাংলাদেশে এই পদ্ধতি বা এমএলএম চর্চা করলেও কিছুদিন পর তার কোম্পানি ভেঙ্গে টং চং নামের আরেকটি কোম্পানি নতুন করে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। তারাও কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় নিউওয়ে প্রাইভেট বাংলাদেশ লি: এবং ডেসটিনি-২০০০ লি: নামের আরো দুইটি কোম্পানির জন্ম হয়। এরপরেই বাংলাদেশে এই পদ্ধতির চর্চা শুরু হয়। প্রথমের দিকে বুঝতে কস্ট হলেও পরের দিকে খুব ভালভাবেই চলছিল ২০১২ সাল পর্যন্ত।এরপর বাংলাদেশে শুরু হয় এটাকে নিয়ে বিতর্ক। অবশেষে ২০১৩ সালে এমএলএম আইন পাস হয় এবং আইন তৈরি হয় যা ২০১৩ সালের ৪৪ নং আইন। এরপর ২০১৪ সালের মার্চ মাসে কিছু কোম্পানিকে লাইসেন্স দিলেও ২০১৫ সালের শেষের দিকে সব এমএলএম কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়।এরপর থেকে কিছু কোম্পানি স্টে অর্ডার নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এরপরও প্রতিনিয়ত নেতিবাচকদের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করে যেতে হচ্ছে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কর্মী ও মালিকগণদের।
0 Comments